সরদার সোহেল, উজিরপুর : উজিরপুরে সন্ধ্যা নদীর অব্যহত ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বসত বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, স্কুল, মসজিদ, সংস্কৃতিক কলেজ, মন্দির সহ বিভিন্ন স্থাপনা, ফসলি জমি বসত ঘর হারিয়ে ভুমিহীন হয়ে পরেছে হাজারো মানুষ। হুমকির মুখে উজিরপুর সাতলা সংযোগ সড়ক।
ভাঙ্গনকবলিত স্থান পরিদর্শন করে দূর্দশা লাঘবে কার্যকরি ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দিয়েছেন উজিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ শিকদার বাচ্চু।
সরেজমিন ঘুরে জানাগেছে উজিরপুর উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত খরস্রতা সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনে প্রতিবছর ভিটে মাটি হারিয়ে সম্বলহীন হয়ে পরে হাজারো পরিবার এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারো গতো দুই সপ্তাহে আকস্মিক ভাঙ্গনে উপজেলার বরাকোঠা ইউনিয়নের নাড়িকেলী গ্রামের প্রায় ৫০ টি পরিবারের ঘরবাড়ি ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, মানবেতর জিবন যাপন করছে সম্বলহীন পরিবার।
স্থানীয় গৃহবধু আকলিমা বেগম বলেন হঠাৎ করেই ঐতিহ্যবাহী মৃধা বাড়ির মোতালেব, আবুল বাসার, আদম আলী, আব্বাস, মনির, কালু, জাকির মৃধার ঘরবাড়ি ভাঙ্গনের কবলে পরে সর্বস্ব খুইয়েছেন।
নাড়িকেলী গ্রামের অরুন মন্ডল বলেন অব্যহত ভাঙ্গনে শতবছরের পুরনো অবিনাশ ডাক্তারের বাড়ির মাজু বৈরাগী, রনজিত বারৈ, পরিতোষ মন্ডল, অমূল্যর বাড়ি ঘর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বিগত বছরের ভাঙ্গনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাব্যতীর্থ কলেজ, মন্দির, চথলবাড়ী মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ চলাচলের রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে নদী তীরবর্তী হাজারো পরিবার।
সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধ করে স্থায়ী সমাধান করে জনগনের দূর্দশা লাঘবে সহযোগিতা করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।
বরাকোঠা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মৃধা জানান ইউনিয়নের দক্ষিণে প্রবাহমান সন্ধ্যার ভাঙ্গনে সাধারণ জনগন ক্ষতিগ্রস্ত তাদের পুর্নবাসনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে
এবিষয়ে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিম বলেন নদীভাঙ্গন কবলিত এলাকার বিষয়ে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে তারা ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এবং বরিশাল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভাঙ্গনে ভিটে হারানো পরিবারকে চাল দেবার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে ।
উজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ শিকদার বাচ্চু ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষের দুর্দশার কথা তুলে ধরে বলেন প্রাকৃতিক দুর্যোগে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সহায়তা করা হবে তবে ভাঙ্গনের বিষয়টি বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে জানানো হলেও তারা দৃশ্যমান কার্যকরি কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেনি এটা দুঃখজনক, এ ব্যপারে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে পদক্ষেপ গ্রহন করার আশ্বাস দেন।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব হোসেন বলেন উজিরপুরের ওই এলাকার ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রাথমিক ভাবে বালুর বস্তা ( জিও ব্যাগ ) ফেলে ভাঙ্গন রোধের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে অচিরেই তারা কাজ শুরু করবে।