এম জহির : : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন, তখন এই সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ভাই-বোনেদের অনেক ভূমিকা ছিলো। এছাড়াও আমার শ্বশুর আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের অনেক অবদান ছিলো এই বরিশালের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। তার ছোট ছেলে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত সাংস্কৃতিক মনের মানুষ। তেমনি আমাদের প্রধানমন্ত্রীও সাংস্কৃতিক মনের মানুষ। তিনি গান খুব পছন্দ করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরিশাল সিটি করপোরেশনের নব-নির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের সহধর্মিণী লুনা আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, আমিও ছোটবেলায় গান করতাম। তাই আমিও আশ্বস্ত করতে পারি, বরিশালের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যদি আমাকে ডাকে তাহলে সকল সংগঠনগুলোকে সহায়তা করা হবে।
বরিশাল সংগীত শিল্পীসত্তার হল রুমে জীবনানন্দ ললিতকলা একাডেমির আয়োজনে রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের ৬৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কথা সুর কবিতায় ‘জীবনানন্দ স্মরনাঞ্জলি’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সকলে দোয়া করবেন যেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা করতে পারি, এই বরিশালের যেন উন্নয়ন করতে পারি; উন্নত করতে পারি। বরিশালের নব-নির্বাচিত মেয়রও এই বিষয়টি আশ্বস্ত করেছেন, আমরা জনগণের যেন সেবক হতে পারি।
সিটি নির্বাচনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমি এখনও সব জায়গায় পৌঁছতে পারি নি। আমি নির্বাচনের সময়ে নগরীর কলোনি গুলোতে গিয়েছি। গরিবের মধ্যে আমি আগে গিয়েছি। আমি চাই বরিশালের মানুষ যেন সেবা পায়। নগরীর সকলে দলমত নিরিশেষে সেবা পাবে।
এছাড়া প্রধান অতিথির বক্তব্যর মধ্যে বরিশালের আঞ্চলিক গানের সুরকার ও গীতিকার এবং বরিশাল সংগীত শিল্পী সত্তার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত বশিরুল হক বাদলকে স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানে জীবনানন্দ ললিতকলা একাডেমির উদ্যোক্তা সুকান্ত অপির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিশেষ অতিথি বীরমুক্তিযোদ্ধা ললিত দাস, সংস্কৃতিজন মিন্টু কর, সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্নেহাংশু কুমার বিশ্বাস, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ বরিশালের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দু শেখর সরকার, খেয়ালী গ্রুপ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক অর্পূব কুমার রায়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান উন্মেষ রায়, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের চেয়ারম্যান সোহেল রানা, সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জোবায়ের হোসেন সাহেদ, বাচিক শিল্পী ও আবৃত্তিকার নেজারুল ইসলাম বাবু, সংগীত শিল্পী ও সংগঠক কমল ঘোষ প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তবল যন্ত্র সংগীত পরিচালক সঞ্জীত সমদ্দার, আবৃত্তি ও উপস্থাপনা বিভাগের পরিচালক ও বাচিক শিল্পী রাখী সায়ন্তনী, সংগীত বিভাগের পরিচালক ছুটি মন্ডল, জীবনানন্দ ললিতকলা একাডেমির পরিবারের শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বৃন্দরা।
অনুষ্ঠানে কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা পাঠ এবং সংগীত পরিবেশন করেন একাডেমির শিক্ষার্থীবৃন্দ ও শিল্পীরা।